বাণিজ্যিকভাবে শুরু হলো পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন। এরফলে প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে।
কয়লা চালিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে এই কেন্দ্রটি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসলো।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ করোনার এই পরিস্থিতিতেও বিসিপিসিএলের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।’
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, সকল পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্পন্ন করে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)-এর প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়ে প্রথমভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসেছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জর মকসুদপুরে নবনির্মিত ৪০০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ আসছে।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।
পায়রায় দুই ইউনিটের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনের সিএমসি’র যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)।
Discussion about this post