ওই নারীর দেবরসহ চার স্বজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আজ রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ওই নারীর ছোট ভাই আক্রাম হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার আগেই এই ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করে রায়পুরা থানার পুলিশ। তারা হলেন, রায়পুরার মরজাল এলাকার হাফিজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে আলী হোসেন (৩২) এবং তার ভাগনে ও কাজী আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শাহরিয়ার (১৮)।
এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার লোচনপুর এলাকার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের নিচে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ ওই নারী শরীরের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।
পুলিশ ও অগ্নিদগ্ধ নারীর পরিবার জানায়, পারভীন আক্তার (৩০) রায়পুরার মরজাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার প্রবাসী জাকির হোসেনের সাবেক স্ত্রী। প্রায় ৮ মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। জাকির হোসেন ও পারভীন আক্তার দম্পতির ১০ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়েকে নিয়ে পারভীন তার বাপের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার দুপুরে টিকা নিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে সন্ধার পর দেবরসহ চারজন তার মুখ বেঁধে লোচনপুর এলাকার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের নিচে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে আগুন নেভানোর পর তাকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে জাকির হোসেনের পরিবারতে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। পুলিশ বলছে এঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার ও বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
Discussion about this post