আজহারুল ইসলাম সাদীঃ আশাশুনির উপজেলার শোভনালীতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী স্ত্রী ও শিশু কন্যাসহ ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামের আব্দুল বারী মন্ডলের ছেলে, ছলেমান মোড়লের দীর্ঘদিন একই গ্রামের মৃত গহর আলী সরদারের ছেলে সিরাজুল সরদার এর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিলো, তারই জের ধরে সিরাজুল সরদার গং উক্ত জমি জবর দখলের পায়তারা করে আসছিলো। এক পর্যায়ে সোমবার (২০ জুলাই) ভুমি দস্যু ও এলাকার ত্রাস সিরাজুল সরদারের নেতৃত্বে তরিকুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, আজগার আলী, ইমদাদুল ইসলাম, রফিকুল সরদারসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সংর্ঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পা অনুযায়ী, দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছলেমান মোড়লের বাড়ীতে এসে, তাকে উক্ত জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকী দেয় এতে সে রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করা শুরু করলে তার আত্ন চিৎকারে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও শিশু কন্যা মনিরা খাতুন ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাদেরও মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটায় ও তার আনুমানিক ৪২ হাজার টাকা মূল্যের গলায় থাকা ১২আনা ওজনের স্বর্নের চেইন টান মেরে ছিড়ে নেয়ার অভিযোগ করেন। এসময় আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসতে থাকলে মারপিটকারিরা মামলা মোকদ্দমা না করতে ও জমি ছেড়ে না দিলে পরিবারের সকলের জীবনে নাশের হুমকী দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আশপাশের লোকজন জখমী স্বামী স্ত্রী ও তাদের শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। জখমীদের মধ্যে ছলেমান মোড়লের অবস্থা আশাংকা জনক বলে জানাগেছে তাকে উন্নত চিকেৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এ ব্যাপারে ছলেমান মোড়ল বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা গেছে।
Discussion about this post