নতুন করোনাভাইরাসের টিকা পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বিশ্বের সাতশ’ কোটি মানুষ। কিন্তু কবে করোনার টিকা পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত নয়। টিকা নিয়ে কাজ করছেন এমন বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী বছরের আগে টিকা পাওয়া কঠিন হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলছে, চলতি বছরের শেষেই পাওয়া যাবে করোনা ভাইরাসে টিকা।
ইতিমধ্যের এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। একইসঙ্গে উৎপাদন শুরু করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও। এই টিকার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে ব্রাজিলেও।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ‘সবচেয়ে নিরাপদ’ করোনা প্রতিষেধক হাতে পেতে আরও অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে প্রতিষেধক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিললেও বিশ্বজুড়ে চলা ট্রায়ালের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত এটিকে বাজারে ছাড়া সম্ভব নয়। ট্রায়ালের ইতিবাচক ফলাফল এলে উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে এই প্রতিষেধক বাজারে আসতে অন্তত মাস ছয়েক সময় লেগে যেতেই পারে। আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষেই এই টিকা বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাদের তৈরি টিকা, এমনটাই দাবি করলেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধান ড. সারা গিলবার্ট।
ড. গিলবার্ট জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে।
শুধু তাই নয়, তাদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছরখানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম, দাবি গিলবার্টের।
তবে সব কিছুর আগে প্রতিষেধকের সুরক্ষার বিষয়টিকেই জোর দিয়ে দেখছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না তারা।
Discussion about this post