নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ পৌরসভার এক প্যানেল মেয়র তার স্বামীর সহযোগীতায় এলাকার অসহায় গরীব মানুষদের সরকারী ভাবে ঘর দেওয়ার নাম করে ০২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুচতুর ওই প্যানেল মেয়র তার স্বামীকে নওগাঁ শহরস্থ পার নওগাঁ রাজ হোটেলের পার্শ্বে ভাড়া করা বাসায় ডেকে এনে পুনরায় দ্বিতীয় বার ১০ লক্ষ টাকায় দেন মোহর ধার্য্য করে বিয়ে করে। এর পর ঐ প্যানেল মেয়র নিজেকে বাঁচাতে স্থানীয় পাওনাদারদের হাতে স্বামীকে উঠিয়ে দেয়। পাওনাদারেরা তার স্বামীকে গণধোলায় দেওয়ার এক পর্যায়ে থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে তার স্বামীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে ঐ প্যানেল মেয়রের ভাড়া করা বাড়ীতে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরেদৌস (মুন্নী) (৪৫) গত ০৮মাস পূর্বে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বালাকিপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন বিপ্লব(৩৮), কে বিয়ে করে এ যাবত ঘর সংসার করে আসছিলেন। তবে তার স্বামী বিপ্লব নিজেকে জামাল পুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়। এ সুবাদে সে নওগাঁ এসে তার স্ত্রী প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরেদৌস মুন্নীর সহযোগিতায় প্রায় ৩০ জন অসহায় পরিবারের কাছ থেকে সরকারী ঘর দেওয়ার নামে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা ঘরের জন্য প্যানেল মেয়রকে তাগাদা দিলে সে নিজে বাঁচতে তার স্বামীকে ডেকে এনে নাটকীয় ভাবে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যতন মামলা করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার স্বামী বিপ্লব একজন ভুঁয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পূর্ব থেকে বিবাহিত। অপরদিকে প্যানেল মেয়েরের ঘরে ১টি মেয়ে হওয়ার পর তার স্বামী মারা গেলে সে একাধিক বিয়ে করে। এ দিকে ভুক্তভোগীরা টাকা না পেয়ে হতাশায় ভুগছে। এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ও’সি (তদন্ত) ফায়সাল বিন আহসান এর সঙ্গে কথা বললে তিনি মামলা দায়েরের বিষয় নিশ্চিত করেন। অপরদিকে ভুক্তভোগিদের টাকা উদ্ধারের কথা বললে তিনি বলেন অভিযোগ পেলেই প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিপ্লবকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান
Discussion about this post