সদ্য ঢাকা থেকে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নওগাঁয় মাহাবুব আলম (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টায় তার নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়। নিহত মাহাবুব শহরের চকদেব জনকল্যান ডি ব্লক পাড়ার মোহাম্মদ আলীর পুত্র। এতে জেলা শহরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ জানান, এ ঘটনায় আতংকিত হবার কিছু নাই। ধৈর্য্য ধরে সবাইকে মোকাবেলা করতে হবে। সবার সহযোগিতা চান তিনি। ল্যাবরেটরী থেকে রিপোর্ট আসলেই প্রকুত ঘটনা জানা যাবে। ইতি মধ্যেই তার পরিবারের সকলকে হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
নওগাঁ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মন্জর-এ-মুর্শেদ জানান, মাহবুব ঢাকার একটি বে-সরকারী কোম্পানীতে চাকুরী করতেন। গত ১৫ এপ্রিল ভোররাতে তিনি নওগাঁয় আসেন। ঢাকা থেকেই জ্বর-সর্দি ও
শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। বিষয়টি জানার পর গতকাল ১৬ এপ্রিল বিকেলে তার শরীর থেকে নমুনাও সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য ব্যবস্থা করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে যেতে দেয়া হয়নি। আজ শুক্রবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই ব্যাক্তি আগে থেকেই এজমা সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নমুনা পরিক্ষার পরই জানা যাবে।
নওগাঁ কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সহ সভাপতি মোল্লা মোতাহারুল ইসলাম জানান,মৃত মাহবুব আলীর লাশ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। আত্মীয় স্বজনদেরকে কাউকে দাফনে অংশ গ্রহন করতে দেয়নি। তাদেরকে কবর স্থানের গেটের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মো: মঞ্জুর-এ- মুর্শেদ আরও জানিয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায় জেলার ১০টি উপজেলায় নতুন করে আরও ১৯২ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৫ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হেয়ছে। এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছিল ২ হাজার ৯১৫ জনকে। এদের মধ্যে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হোম কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৭ জনকে। বর্তমানে হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৮৭৮ জন।
বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত নওগাঁ জেলা থেকে করোনা ভাইরাস সন্দেহে মোট ২২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪ জনের রিপোর্ট পওয়া গেছে। এদের কাহারও শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ পাওয়া যায় নি।
Discussion about this post