করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া জীবন আর মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পেতে মানুষ যখন একটু আশার আলো খুঁজে বেড়াচ্ছে, তখন আরও হতাশার কথাই শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, করোনা ভাইরাস থেকে হয়তো পুরোপুরি মুক্তি কোনোদিনই মিলবে না বিশ্ববাসীর। তাই গোটা বিশ্বকে এই রোগটির সঙ্গে লড়াই করেই বাঁচা শিখতে হবে। গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র ডা. মাইক রায়ান এ কথা বলেন।
অতীত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ডা. রায়ান বলেন, ‘টিকা উদ্ভাবন করেও অনেক সংক্রামক রোগ নির্মূল করা যায়নি। আর এখন প্রথমবার একেবারে নতুন একটি ভাইরাস মানুষের শরীরে বাসা বেঁধেছে। তাই এর থেকে এখনই যে সবাই রেহাই পাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এই ভাইরাসটি আমাদের মধ্যে থাকতে থাকতে আরও একটি স্থানীয় ভাইরাস হয়ে উঠতে পারে। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, এটি কখনই একেবারে চলে যাবে না। ঠিক যেমন এইচআইভি দূরে যায়নি। তবে আমরা ওই ভাইরাসকে কীভাবে আটকাব তার পথ খুঁজে পেয়েছি।’
তবে উদ্যোগ নেওয়া হলে ভাইরাসটি এখনো নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়েসুস। তিনি বলেন, ‘কৌশল আমাদের হাতে, কিন্তু দায়িত্ব সবার। বিশ্বজুড়ে এই মহামারী অবসানে আমাদের সবারই অবদান রাখা উচিত।’ দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করার
কোনো উপায় নেই বলেও সতর্ক করেন ডা. গেব্রিয়েসুস। তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করতে পারে। তবে এখনো আমাদের সুপারিশ হলো, কোনো দেশেরই সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরকোহব বলেন, আমাদের মানসিকতার মধ্যে এটা নিয়ে নেওয়া দরকার যে, এই মহামারীর অবসান হতে বেশ সময় লাগবে।’ খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
Discussion about this post