আজহারুল ইসলাম সাদী, জেলা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় টিসিবির ডিলার কর্তৃক, টিসিবির পন্য সাধারন মানুষের মাঝে যথাযথভাবে না দিয়ে, আতসাৎ করে বাজারে উচ্চ মুল্যে বিক্রির অভিযোগে, অভিযান চালিয়ে ডিলার সিরাজুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭ টার সময়, সাতক্ষীরা জেলা শহরের, আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পন্য দেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন।
স্থানীয়রাসহ পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে টিসিবি পন্য নিয়ে নয় ছয়ের অভিযোগ বহুদিনের, শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত, গরীব থেকে মধ্যবিত্ত মানুষ তীর্থের কাকের মত দাঁড়িয়ে থাকে পন্য ক্রয়ের জন্য, অথচ ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে অপেক্ষা করে অবশেষে ফিরে যায় খালি হাতে।
অল্প কিছু লোককে মালামাল দিয়েই শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়ে দেন ডিলার। এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে টিসিবি ডিলার আয়ুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সিরাজুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
বরাদ্দ পত্র অনুযায়ী (৪নভেম্বর) তালিকায় চিনির পরিমান ৩০৯ কেজি থাকার কথা থাকলেও স্পটে গিয়ে দেখা যায় রয়েছে মাত্র ১৯৪ কেজি, যা পরিমানে ১০৬ কেজি কম।
মসুরের ডাল ৭০০ কেজি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২০২ কেজি, যা পরিমানে ৪৯৮ কেজি কম।
পেঁয়াজ ৭০০ কেজি থাকার কথা থাকলে রয়েছে মাত্র ৪১৩ কেজি, যা পরিমানে কম ২৮৭ কেজি।
সোয়াবিন তেল ৮০০ লিটার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৭৪০ লিটার, যা পরিমানে কম রয়েছে ৬০ লিটার।
অভিযুক্ত ডিলার সিরাজুল ইসলাম জানান, মালামাল নিয়ে আসার পথে জেলা নাজির ও সিটি কলেজের মোড়ে কিছু লোকজনের মালামাল দিয়ে এসেছি, যার ফলে নির্ধারিত মালামাল থেকে কিছু কম দেখাচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন জানান, তিনি অনেক দিন থেকেই খবর পাচ্ছিলেন জনগনের কাছে বিক্রির নির্ধারিত পরিমান পেঁয়াজ, চিনি, তেলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসার কথা থাকলেও কম পরিমান মালামাল এনে অর্ধেকের বেশী জনগনকে খালি হাতে ফেরত দিচ্ছিল টিসিবি ডিলার আয়ুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সিরাজুল ইসলাম।
সেই খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকালে পুলিশ স্পটে অবস্থান নেয় এবং প্রথমে কি পরিমান মালামাল থাকার কথা সেই তালিকা নেন এবং আছে কি পরিমান তা চেক করে ডিলারের বিশাল কারসাজি ধরে ফেলেন তিনি।
রাষ্ট্র ও জনগনের সাথে এই প্রতারণার জন্য, এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, উক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়।
Discussion about this post