সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে রেড-ইয়েলো-গ্রিন তিনভাগে বিভক্ত করে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন শুরু করেছে সরকার। তবে তিনভাগে বিভক্ত এলাকায় চলাচলের জন্য এখনও ঘোষণা করা হয়নি সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ১৪ দিনব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা পূর্বরাজাবাজারের অভিজ্ঞতার আলোকে চূড়ান্ত হবে নির্দেশনা।
খসড়া আকারে বেশ কিছু সুপারিশ তৈরি করে রেড-ইয়েলো-গ্রিন জোনে করোনা সংক্রমিত এলাকা ভাগ করেছে সরকার। এরই মধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন দিয়েছে সরকার। সুপারিশ অনুযায়ী- প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ত্রিশ বা এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে এলাকাটি ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। আক্রান্তের সংখ্যা লাখে ত্রিশ জনের কম হলে চিহ্নিত হবে ‘ইয়েলো জোন’ হিসেবে। আর লাখে এক-দুজন আক্রান্ত হলে তা হবে ‘গ্রিন জোন’।
রেড জোনে কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউন। বাসা থেকে বের হতে পারবেন না করোনা আক্রান্তরা। নিশ্চিত করতে হবে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন। রেড জোনে প্রয়োজনে আক্রান্তদের বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাবার। ওষুধ নিত্যপণ্য ছাড়া বন্ধ থাকবে সব দোকানপাট ও অফিস। বিশেষ অনুমতিতে বের হতে পারবেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও গণমাধ্যম সেবার সাথে জাড়িতরা।
ইয়েলো জোনে আক্রান্ত না হলে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। হাসপাতাল, গ্যাস, বিদ্যুৎসেবার অফিস ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অফিস খোলা থাকবে। ভিড় এড়াতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে চলাচল। আর গ্রীন জোনে শারীরিক দূরত্ব বাজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক থাকবে সবকিছু।
নির্দেশনা চূড়ান্ত না হলেও রেড জোন হিসেবে লকডাউন করা পূর্বরাজাবাজারের অভিজ্ঞতা সারা দেশব্যাপী প্রয়োগ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চূড়ান্ত করবে স্বাস্থ্যবিভাগ।
জোনের শর্ত: প্রতি লাখে
১. ত্রিশ বা এর বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে রেড জোন।
২. তিন জনের বেশি ত্রিশ জনের কম আক্রান্ত হলে ইয়োলো জোন।
৩. এক বা দুইজন অথবা আক্রান্ত না হলে গ্রিন জোন।
রেড জোন:
১. লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর হবে।
২. করোনা আক্রান্তদের বাসা থেকে বের হতে দেয়া হবে না।
৩. প্রয়োজনে খাবার ও ওষুধ বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
৪. চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও গণমাধ্যম সেবার সাথে জাড়িতরা বের হতে পারবেন।
৫. যেকোন ধরনের অফিস, দোকান (ওষুধ, নিত্যপণ্য ব্যতিত) বন্ধ থাকবে।
ইয়েলো জোন:
১. আক্রান্ত না হলে জরুরী প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবেন।
২. হাসপাতাল, গ্যাস, বিদ্যুৎসেবার অফিস ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অফিস খোলা থাকবে।
৩. ভিড় এড়াতে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
গ্রিন জোন:
১.দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে।
Discussion about this post