সাফায়েত হোসেন প্রতিনিধি দশমিনা
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে দশমিনা উপজেলা যুবদলের কর্মী সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পুলিশের সাথে যুবদল নেতা কর্মীদের দফায় দফায় সংঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে অর্ধ শতাধিক যুবদল ছাত্রদল নেতা কর্মী আহত হয়েছে। যুবদল নেতাকর্মীদের পাল্টা আক্রমনে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এঘটনায় যুবদল ছাত্রদলের ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের এঘটনায় দশমিনার গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় দশমিনা উপজেলা যুবদলের উদ্দ্যেগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে দশমিনা সোনালী ব্যাংকের দক্ষিন পাশের মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেন যুবদল। এসময় দশমিনা থানা পুলিশের একটি দল বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করার অভিযোগে যুবদল নেতাকর্মীদের সমাবেশ বন্ধের অনুরোধ জানান। এসময় উত্তেজিত যুবদল ছাত্রদল নেতা কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেন। এঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা নলখোলার বিএনপি নেতা শাহ আলম শানুর বাসভবনে সমাবেশের চেষ্টা করলে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের সময় যুবদল ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় দশমিনার নলখোলা বাসষ্টান্ড এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। মুহূর্তেই মানুষ দোকানপাট বন্ধ করে ছোটাছুটি শুরু করেন। দশমিনা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহ আলম শানু জানিয়েছেন পুলিশি হামলায় তাদের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, আহতরা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি কাজী আজিজুল হাকিম আরজু, বরিশাল মহানগর যুবদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান শামীম, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমাম হোসেন, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সহ সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিটন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, এ্যাডভোকেট পারভেজ আকন বিপ্লব পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট তৌীফক আলী খান কবির, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সাবেক যুবদল সভাপতি শাহ আলম শানু, যুবদল নেতা ইয়াছিন আলী, যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কে এম শামীম। যুবদল নেতা আবু আব্দুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন আনু, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক যুবায়ের হোসেন আক্কাস, সহ সভাপতি সরদার মাসুদ, ছাত্রদলের সহ সাধারন সম্পাদক কাজী তানজিল আহমেদ রিডেন, বহরমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক বেল্লাল হোসেন, যুবদল নেতা ইউসুফ খান সহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলা যুবদলের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন গ্রেফতার আতংকে আহত নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। সংঘর্ষে দশমিনা থানার এস আই আব্দুর রহিম, এস আই হারুনুর রশিদ, এস আই নুরুজ্জামান, এস আই শামীম, এ এস আই মামুন এবং কনষ্টবল শাহাবুদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় দশমিনা থানাপুলিশ ২১ যুবদল ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করেছেন। দশমিনা ও গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন জানান, পুশিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে॥ তিনি জানান, দশমিনার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে॥ সংঘর্ষের ঘটনায় দশমিনা উপজেলার গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে॥
Discussion about this post