এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: জলাবদ্ধতার চরম ভোগান্তির স্বীকার আত্রাইয়ের সাহাগোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা। কিছু কিছু স্থায়ী জলাবব্ধতা এখন ইউনিয়নের নিত্যদিনের সঙ্গী। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় রাস্তায় পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে এমন অভিযোগ করছেন সকলেই ।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে সাহাগোলা ইউনিয়ন একটি ভালো মানের ইউনিয়ন পরিষদ। এখানে গ্রামের ভিতরের রাস্তাগুলোর তেমন কোন উন্নয়নকাজ হয়নি যাহা কিছু হয়েছে স্থানীয় সংসদসদস্য ইসরাফিল আলমের টিআর কাবিখা প্রকল্পেই হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত টিআর কাবিখা প্রকল্প তেমন নজরে পরার মত না। স্থানীয় কিছু ভুক্ত ভুগিরা জানান সাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন হতে ভবানীপুর বাজার রাস্তাটি যোগাযোগের জনবহুল আর এ রাস্তায় সামান্য কিছু অংশ ইউনিয়নের পার্শে জলাবদ্ধতা হয়ে থাকলেও চেয়ারম্যানের কোন নজর নেই। ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান আমার এ ওয়ার্ডের জনগুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা মির্জাপুর ঈদগাহ গতে আব্বাসের বাড়ি পর্যন্ত লোকজন চলাচল ও কৃষকের ধান উত্তোলনের একমাত্র ভরসা, কিন্তু গত চার বছরে এ রাস্তাটি স্থানীয় সংসদসদস্য ইসরাফিল আলমের স্পেশাল বরাদ্দে অর্ধেক মেরামত হলেও চেয়ারম্যানের কোন নজর নেয়। তিনি আরো জানান ফুলবাড়ি গ্রামের রাস্তাগুলো গত চার বছরে কোন প্রকার প্রকল্পের ছোঁয়া লাগেনি। নামপ্রকাশ নাকরা শর্তে কিছু কিছু ইউপি সদস্যরা জানান আমাদের এ চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতিতে ইউনিয়নের সিংহ ভাগ বরাদ্দ তার নিজ ওয়ার্ডের প্রকল্প করে কাজে লাগান, তারা আরো জানান, এলজি এসপির বরাদ্দকৃত অর্থে ইউনিয়নে ইউপি সদস্য দের একমাত্র উন্নয়নের চাবিকাঠি, বাকি বরাদ্দ চেয়ারম্যানের খেয়ালখুশিতেই চলে প্রকল্পের কাজ। এ সম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবু জানান ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ অনেকটায় কম বছরে টিআর কাবিখা যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তাতে এলাকার উন্নয়নকাজ চাহিদা মতাবেক করা সম্বভ না।
Discussion about this post