ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর গোমা শহরের পার্শ্ববর্তী একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগ্নেয়গিরিটির এর আগের অগ্নুৎপাতগুলোতে ব্যাপক প্রাণহানির রেকর্ড রয়েছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (২২ মে) গভীর রাতে মাউন্ট নাইরাগঙ্গো নামে ওই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার উদগীরণ শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে গোমা শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। অনেকে হেঁটেই রওনা হন পার্শ্ববর্তী রুয়ান্ডা সীমান্তের দিকে। এ সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় গামার বিমানবন্দর। গোমা শহর থেকে আগ্নেয়গিরিটির দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার।
নাইরাগঙ্গো সবশেষ ২০০২ সালে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। সে সময় ২৫০ জন নিহত হয়েছিলেন। উদ্বাস্তু হয়েছিলেন প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। তার আগে ১৯৭৭ সালে এটি অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। তখন ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হন অনেকে। সব মিলিয়ে নাইরাগঙ্গোকে পৃথিবীর অন্যতম সুপ্ত এবং ভয়ংকর আগ্নেয়গিরি বিবেচনা করা হয়।
এদিকে শনিবার রাতেই দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুয়ায়া এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘গোমা শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদে জন্য উচ্ছেদ পরিকল্পনা সক্রিয় করা হয়েছে। “সরকার বর্তমানে নেওয়া জরুরি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছে।
দেশের জরুরি মুহূর্তে ইউরোপ সফররত কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফ্লেক্স তিশিসেকিদি তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
Discussion about this post