ইউক্রেন সীমান্তের কাছে দেড় লাখ রুশ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যা ‘সর্বকালের বৃহত্তম’ সেনা মোতায়েনের ঘটনা এবং দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরুর জন্য যে কোনো একটা ঘটনাই যথেষ্ট।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল সোমবার (১৯ এপ্রিল) বলেন, কারাবন্দি রাশিয়ান বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির অবস্থা সংকটজনক এবং ২৭ দেশের গ্রুপ ক্রেমলিনকে তার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলবে।
উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বোরেল বলেন, আপাতত রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করার মতো আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
বোরেল বলেন, ‘এটি ইউক্রেন সীমান্তে সর্বোচ্চ রুশ সেনা মোতায়েন। এটা স্পষ্ট যে, আপনি যখন ব্যাপক সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবেন তখন বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি ছোট্ট ঘটনাতেই সেখানে সংঘাত শুরু হতে পারে।’
তবে দেড় লাখ রুশ সেনা মোতায়েনের তথ্য বোরেল কোথায় পেয়েছেন সে বিষয়ে তিনি উত্তর দেননি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে তারানের অনুমান, এ সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি হবে।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ রাশিয়া দখলে নেওয়ার পরে ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী এবং রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সাত বছরের লড়াইয়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
ইইউ দৃঢ়ভাবে এই দখলের বিরোধিতা করেছে তবে এ বিষয়ে কিছুই করতে পারেনি সংস্থাটি। বোরেল বলেন, সব মিলিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কোনো উন্নতি হচ্ছে না, বরং বিভিন্নভাবে এই উত্তেজনা আরও বাড়ছে। আমরা রাশিয়াকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
সূত্র: ডন
Discussion about this post