নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধুর নেত্রীত্বে ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলায় দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় বিএনপি জামাত শিবিরের নীলাতান্ডবের সময় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাল ধরার মতো ব্যাক্তি খুঁজেও পাওয়া যায়নি। জামাত শিবিরের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো সংগ্রাম চালিয়ে আওয়ামীলীগের দুর্দিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাল ধরে ছিলেন, সদরুল ইসলাম মন্ডল, প্রফেসর আঙ্গুর মিয়া, ফিরোজ কবির মন্ডল, রওশন আলম আকন্দ। ইতিহাস স্বাক্ষী দিবে এই সকল ছাত্র নেতা দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু চত্বরে দিনে পালিত করে, জামাত শিবিরের ভয়ে রাতে অন্যের বাড়িতে পালিয়েও থাকেন। এমন ভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে দলকে প্রসারিত করার সংগ্রাম চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত করেছেন চার ছাত্রলীগ ত্যাগী নেতা। বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার দীর্ঘদিন ক্ষতায় থাকার ফলে দুর্দিনের সংগ্রামী নেতাদের অস্তিত্ব বিলীনের পথে, আজকের সু-দিনে দলের সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন অনুপ্রবেশ কারী কিছু সংখ্যক নেতা। আসছে আগামী ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চার ত্যাগী নেতা নৌকার মনোনয়ন পেতে সিভি জমা দিয়েছেন। দীর্ঘ ৪০ বছর পেড়িয়ে গেলেও কখনো দলকে আবমূল্যয়ন করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে আংশ গ্রহণ করেন নি তাঁরা। তাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পক্ষে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের রাজনৈতি করে নি। আসছে আগামী আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমকর্মী ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও রিলিফ চেয়ারম্যান মৃত আজিম উদ্দিন মন্ডলের বড় পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দিদারুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার ছোট ভাই সদরুল ইসলাম মন্ডল, ১৯৯৩ সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৬ হতে ২০০২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। আসছে আগামী ইউপি পরিষদ নির্বাচনে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে নৌকার ভোট চেয়ে গণসংযোগে ব্যাস্তসময় পার করছেন সদরুল ইসলাম মন্ডল। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম, ময়মল ইসলাম, আজিজ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মিলন মিয়া, রাজ্জাক মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃত আজিম উদ্দিন মন্ডল ১৯৭৫ সন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রিলিফ চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন, এমনকি তিনি একজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। পর্যায়ক্রমে মৃত আজিম উদ্দিন মন্ডলের পরিবারে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান বড় ছেলে অধ্যক্ষ দিদারুল ইসলাম মন্ডল। তৃতীয় বারের মতো, আজিম উদ্দিন মন্ডলের পরিবারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পায় মেজো ছেলে সদরুল ইসলাম মন্ডল। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর হতে এখন পর্যন্ত রিলিফ চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেন, মৃত আজিম উদ্দিন, এমনকি তাদের পরিবারে পিতা পুত্রসহ তিন জন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নেত্রী যদি ত্যাগ বিশ্লেষণ করে ক্লিন আওয়ামী পরিবার মৃত আজিম উদ্দিন মন্ডল পরিবারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয় তাহলে আমারা মনে করি নিশ্চিত নৌকার বিজয় লাভ করা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা। নির্বাচন সম্পর্কে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সদরুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ১৯৯০ সালের পর হতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করেছি। অনেক ত্যাগের বিনিময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের পরিবার থেকে অসহায় নিম্ন আয়ের পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। নেত্রী যদি ত্যাগের বিনিময়ে বিবেচনা করে আমাকে নৌকার টিকেট দিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়, তাহলে আমি নেত্রীকে নিশ্চিত নৌকার বিজয় উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এমনটায় জানিয়ে সদরুল ইসলাম মন্ডল নেত্রীর সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করে ত্যাগী নেতাদের এ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সুযোগ দিন।
Discussion about this post