এরই মাঝে এসেছে দেশটির সাধারণ নির্বাচন। এবারও অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা সমালোচানা থাকলেও নির্বাচনে আবারও জয় নিয়ে আশাবাদী সু চি।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন অং সান সু চি। সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর আন্দোলনে নেমে প্রায় দুই দশক কারাবন্দি ছিলেন তিনি। সে সময় শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবেই দেখা হতো তাকে।
তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় এক অন্য সু চিকে দেখেছে বিশ্ব। গাম্বিয়ার করা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের সম্মুখীনও হতে হয়েছে সু চিকে।
তবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সারাবিশ্বে তীব্র সমালোচনার মুখে আবারও নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফল ডেমোক্রেসি-এনএলডি। শত বিতর্ক সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনেও অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যসহ ৫৬টি শহরে কোনো ভোট হবে না।
ফলে রাখাইনদের রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে করা ইন্ডিপেনডেন্ট ইলেকশন ওয়াচডগ পিপলস অ্যালায়েন্স এর জরিপ বলছে এখনও ৭৯ শতাংশ মানুষের সু চির উপর আস্থা রয়েছে।
এবার করোনার কারণে ৮ই নভেম্বরের নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছিল প্রধান বিরোধী দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি -ইউএসডিপি। তবে স্বাস্থবিধি মেনে ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করেই নির্বাচন হবে জানিয়ে তাদের দাবি নাকচ করে দেয় সু চি’র দল।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ কোটি ৭০ লাখ, এর ৫০ লাখ ভোটই তরুণদের। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ২৯শে অক্টোবর থেকে আগাম নেওয়া হচ্ছে। ওইদিন রাজধানী নেপিদোতে আগাম ভোট দিয়েছেন সু চি।
দীর্ঘ ৫০ বছরের সামরিক শাসনের পর ২০১৫ সালে বড় জয় পায় অং সান সু চি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি।
Discussion about this post