আজ বিশ্ব প্রবীণ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। জাতিসংঘ ১৯৯০ সালে প্রতিবছর পহেলা অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। বয়োবৃদ্ধ তথা প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব এবং উন্নত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ৬৫ বছর ও তদ‚র্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, সচেতনতা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন মৃত্যুহার যেমন হ্রাস করেছে; পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে, বিশ্ব সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবছরের মতো এবারও সমাজসেবা অধিদফত দিবসটি পালন করবে।
প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব প্রবীণ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৈশ্বিক মহামারির বার্তা’। ১৯৯০ সালের পয়লা অক্টোবর, আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ।
নিতান্ত বাধ্য হয়ে কোন কাজে গেলে কিছুটা অবহেলাই পেতে হয় রাষ্ট্রের এই জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের। আক্ষেপের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে কিছু চাওয়াও আছে তাদের- অন্তত মৌলিক চাহিদা গুলো সঠিকভাবে চান তারা।
অবশ্য সবার জীবন একরকম নয়। অনেকেই আছেন যারা এখনো নিজের দু’বেলা খাবারের জন্য কাজ করে চলেছেন।
বাড়ছে গড় আয়ু সেসংগে বাড়ছে রাষ্ট্রে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা। প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন। তবে রাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে পরিবারকে, এমনটাই বলছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। আর যে কেনো সংকটকালে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের প্রতি আরও খেয়াল রাখার তাগিদ তাদের।
সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল হক বলেন, “বাঙালিদের মানসিক অস্তিত্ব ও পরিচয় যে ধরনের তাতে আসলে প্রতিষ্ঠানে রেখে প্রবীণদের সেবা দেয়ার যে বিষোয়টি সমাজ কাঠামো অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না। সরকার যেটি করতে পারে তা হল, প্রবীণদের যে চাহিদা রয়েছে সেগুলো পূরণের জন্য একেবারে তাদের বাড়িতে সে উপকরণগুলো পৌঁছে দিতে পারে।”
পরিবার সমাজের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রর যেসব দায়িত্ব রয়েছে তা অনেকটাই উপেক্ষিত। এনিয়ে পরিকল্পনা করার তাগিদ দেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় আট শতাংশ প্রবীণ। সে হিসেবে প্রবীণের সংখযা ১ কোটি ৩০ লাখ। তাদের দেখাভালের দায়িত্ব পরিবারের, একই সাথে রাষ্ট্রের।”
Discussion about this post