রাজশাহী র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার এটিএম মাইনুল ইসলাম জানান, মামলা হবার পর তার লোকেশন দেখে র্যাব রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া বিশপ হাউজে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ফাদার প্রদীপকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় ওই গীর্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই তরুণী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ২৭শে সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করেন তার ভাই স্বপন হাঁসদা। থানায় জিডির পর ২৮শে সেপ্টেম্বর দুপুর পর জানা যায় নিখোঁজ কিশোরী গীর্জার ফাদার প্রদীপের রুমে বন্ধী অবস্থায় আছে। এনিয়ে গ্রামের মোড়ল ও মুন্ডুমালা সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্মেল মার্ডির নেতৃত্বে ২৮শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গীর্জার ভেতরে শালিসি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গীর্জার ভিতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়।
বলা হয় ২৯শে সেপ্টেম্বর যদি ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা থানা থেকে নিখোঁজের ঘটনায় করা জিডি প্রত্যাহার করে তবেই ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়াসহ তার সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত খরচ বহন করবে গীর্জা কর্তৃপক্ষ। দুপুরে থানা থেকে ওই কিশোরীর ভাই নিখোঁজের জিডি তুলে নিলেও ওই কিশোরীকে গীর্জা থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বরং উল্টো সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়ে গীর্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও শালিসি বৈঠক এর প্রধান কামেল মার্ডি ওই কিশোরীকে গীর্জায় বন্দী রেখেছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, পুলিশ মেয়েটি উদ্ধার করেছে। এঘটনায় মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা করেছেন।
Discussion about this post