চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীদের সেবা দিতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে আয় ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে উঠতে পারছে না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তার উপরে বেড়েই চলেছে ব্যয়। অন্যদিকে বিভিন্ন সেক্টর থেকে কর আদায়ে আছে নানা জটিলতা।এভাবে আয় বঞ্চিত হয়ে নগরীর ভাঙ্গা সড়ক মেরামত, বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রায় প্রতিটি খাত হয়ে উঠেছে জরাজীর্ণ। বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ। তবে এবার সব প্রতিকূলতা মাড়িয়ে একটি উন্নত শহর গড়ে তুলতে বিশিষ্টজনদের নিয়ে খোলা হবে একটি ম্যাসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। সেখানে আপাতত নিশ্চিতভাবে থাকছেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ আরও বিশিষ্ট ১৬ জন। পরে যুক্ত হতে পারে আরও দুই/তিন জন। এই গ্রুপে তথ্য আদান প্রদান করে শুরু হবে বিভিন্ন জটিলতা সমাধানের কাজ।শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক ভবনে আয়োজিত পরামর্শক কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন সুজন। নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে সেখানে ‘বাঁধা’ হিসেবে প্রথম দিনই আলোচনার মূখ্য হয়ে উঠেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল, বন্দরসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর খামখেয়ালিপনা।
উল্লেখ্য পরামর্শক কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সরকারি সংস্থা পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিমকে। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের সাবেক আইজি মো. নুরুল আলম, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন, বিএসআরএম গ্রুপের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এম এ সালাম।
Discussion about this post