ঢাকার ধামরাইয়ে সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। নিহত জুলহাস উদ্দিন বেসরকারি বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে গলাকেটে ও ছুরিকাঘাত করে বিজয় টিভির সাংবাদিক জুলহাসকে হত্যার ঘটনাটি নৃশংস। আর পরিবারের কর্তা ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় জুলহাসের পরিবার। জুলহাসের ছোট ছেলে-মেয়ে ও তার স্ত্রী অনিশ্চিত জীবনের মুখে দাঁড়িয়ে কেবল হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইছেন।
তারা আরও বলেন, এমন ঘটনায় ধামরাইসহ সারা দেশের সাংবাদিকদের মাঝে শোক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে দিনের বেলায় একজন সংবাদকর্মীকে এভাবে হত্যার ঘটনায় কর্মক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তারা। শুধু ধামরাইয়ে কর্মরত সাংবাদিকরাই নয়, এখানকার বাসিন্দারাও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাই অবিলম্বে সাংবাদিক জুলহাস হত্যাকারীদের ফাঁসি নিশ্চিত করলে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও মত দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি কালেরকণ্ঠ পত্রিকার আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ইনকিলাব পত্রিকার আনিছুর রহমান স্বপন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া এলাকায় বাস থেকে নেমে বাড়িতে যাওয়ার পথে পেছন থেকে সাংবাদিক জুলহাসকে গলায় ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় জীবন বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করেও দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহিন ও মোয়াজ্জেম নামে দুই হত্যাকারীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
নিহত জুলহাস উদ্দিন ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোরা গ্রামের মৃত রইস উদ্দিনের ছেলে। তার ১২ বছর বয়সী এক ছেলে ও ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
Discussion about this post