ভারতের কেরালায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই পাইলট রয়েছেন। ১২৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুক্রবার রাতেই উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্স।
দক্ষিণ ভারতের কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে রানওয়েতে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এএক্সবি ফ্লাইট ওয়ান থ্রি ফোর ফোর। বৃষ্টির কারণে রানওয়ে থেকে পিছলে বিমানটি দুই টুকরো হয়ে যায়।
করোনায় আটকে পড়াদের নিয়ে দুবাই থেকে ভারতে ফিরছিল বিমানটি। ১০ শিশুসহ ১৮৪ যাত্রী, চার ক্রু ও দুই পাইলট ছিলেন ওই ফ্লাইটে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ চালায় সেনাবাহিনীসহ জরুরি সেবাদানকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উড়োজাহাজটির পাইলট ফ্লাইট কমান্ডার দীপক বসন্ত ও কো-পাইলট অখিলেশ কুমারের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
শুক্রবার রাতেই বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ভেতর থেকে সব যাত্রীকে বের করে এনে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে ধারনা করা হলেও, তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হারদ্বীপ সিং পুরি।
তিনি বলেন, দুই বার ল্যান্ড করতে গিয়ে পাইলট ব্যর্থ হন বলে জানা গেছে। শেষবার বিমানবন্দরের দেয়াল ভেঙে খাদে পড়ে। তবে আগুন না ধরার কারণে বেশিরভাগ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
এর আগে, ২০১০ সালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। সেময়, নিহত হয় ১৫৮ আরোহী। ব্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের রানওয়েতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
Discussion about this post