এই হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের এই দিনটিকে সবচেয়ে কলঙ্কিত দিনে পরিণত করেছে হত্যাকারীরা। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামাল, দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল ও তার স্ত্রী রোজী জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ হত্যার শিকার হন।
ওই সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পিতা-মাতা সব হারানো দুই বোন দেশেও ফিরতে পারেননি। শরণার্থীর মতো তাদের থাকতে হয়েছে বিদেশে। জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ২১ বছর বন্ধ থাকার পর উদ্যোগ নেওয়া হয় খুনিদের বিচারের। ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী শোক দিবস পালন করবে। তবে করোনা প্রেক্ষাপটে সব কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনে মোমবাতি জ্বালিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
Discussion about this post