গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রোজিনা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী ছামিউল মিয়া। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ রামধন (মওয়ামারী) গ্রামের ওয়ারেছ আলীর মেয়ে। এবং অভিযুক্ত ছামিউল পাইটকাপাড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক দূরাবস্থার কারনে ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন গৃহবধূ রোজিনা। আর স্বামী ছামিউল সেখানে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতেন। তখন থেকেই দুজনের মধ্যে সন্দেহের জেরে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। প্রায় একমাস আগে রাগে ঢাকা থেকে রোজিনা বেগম তার বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে স্বামী ছামিউল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সালিশের মাধ্যমে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পারিবারিক বিষয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি সৃষ্টি হয়। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বিলে মাছ মারার কথা বলে ওই গৃহবধূকে বাহিরে নিয়ে যায় তার স্বামী। পরে বিলের মাঝে নিয়ে গিয়ে কাঠমিস্ত্রীর কুড়াল দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে তার শশুর-শ্বাশুড়ি এগিয়ে এলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের বাবা ওয়ারেছ আলী জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা ইস্যুতে তাদের ঝগড়াঝাটি হত। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার সালিশও হয়। প্রায় একমাস আগে সালিশের মাধ্যমে আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। আর আজকে ওরা আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলল। আমি ওই পাষণ্ডের শাস্তি চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Discussion about this post