যুক্তরাষ্ট্রের চীনা কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে দেশটিকে সরে আসার জন্য জানিয়েছে চীন। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানায়, বুধবার (২২ জুলাই) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার( ২১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের হাউস্টনে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বেইজিংকে নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কনস্যুলেট চত্বরে কিছু নথি পুড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর এ নির্দেশ দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি কনস্যুলেট চত্বরে কিছু নথি পুড়িয়ে দিচ্ছে।
সেখানকার কর্মকর্তারা বহু নথিপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরপরই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এতে বলা হয়, ‘আমেরিকান ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিকে সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে অন্যায্য বলে উল্লেখ করেছেন চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে হাউস্টনে চীনের কনস্যুলেট জেনারেলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বলেছে। চীন এ ধরনের দমনমূলক ও অন্যায্য পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য অন্তর্ঘাত।’
কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। তা না হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের পাশাপাশি দেশটির হাউস্টন, নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো ও শিকাগোতে দেশটির কনস্যুলেট রয়েছে। একইরকমভাবে বেইজিং-এ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ছাড়াও চীনা শহর সাংহাই, গুয়াংঝু, চেংডু, উহান ও শেনইয়াং-এ মার্কিন কনস্যুলেট রয়েছে।
Discussion about this post