স্বাস্থ্য বিধি মেনে শনিবার (১১ জুলাই) সকাল সকাল ১০টায় তেজকুনিপাড়া বায়তুশ শরীফ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে, বেলা ১১টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে সাহারা খাতুনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখানেই মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, শুক্রবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাহারা খাতুনের মরদেহবাহী ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট। তার আগে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার পর ব্যাংককের সুবর্নভূমী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় প্লেনটি। গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৬ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মারা যান তিনি। সাহারা খাতুন বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে প্রথমে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে তার অবস্থা খারাপ হলে চিকিৎসার জন্য গত ৬ই জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়েছিলো।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন সাহারা খাতুন। তিন বছর ওই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করার পর দপ্তর পরিবর্তন হলে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ঢাকা নগরীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ঢাকা-18 আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের ফোরোমেরও অন্যতম একজন নেতা ছিলেন সাহারা খাতুন।
Discussion about this post