রংপুর অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে বোরো চাষ। তাই লোকসান কমাতে পানি ও ব্যয়সাশ্রয়ী উন্নত আউশ চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। ।
রংপুর জেলার বরেন্দ্র এলাকায় ৫০-৬০ ফুট নিচেও পানি পাওয়া যায় না। এতে বোরো উৎপাদনে ব্যায় বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখেনা কৃষক। ফলে সেচ ছাড়া বৃষ্টি নির্ভর উচ্চ ফলনশীল অল্প খরচে বেশি লাভের আউশ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকেরা। সেই সাথে কৃষকদের সরকারি প্রনোদনাসহ পানি, সার, সহজলভ্য হয়ায় দিন দিন বাড়ছে আউস চাষে কৃষকদের আগ্রাহ। জেলায় চলতি মৌসুমে ২৬ হাজার ১৩৫ হেক্টরে, সাড়ে ১০ হাজার কৃষককে পোনে ১ কোটি টাকা প্রনোদনা দিয়েছে সরকার। তাছাড়া বোরো ধানের চেয়ে বিঘা প্রতি অর্ধেক খরচ হয় আউশ চাষে।
একরে ৬ মন আউশ চাষে ফলন হচ্ছে ৫০-৬০ মন। বোরোর পরে আমনের আগে পতিত জামিতে বাড়তি ফসল লাভে খুশি কৃষক। প্রযুক্তিগত কলাকৌশল এবং বীজ ও সার প্রনোদনা দেয়ায় বদলে গেছে আউশের চিত্র। আর চাষ সম্প্রসারণ ও প্রনোদনা বাড়ানোর দাবি জন প্রতিনিধিদের।
রংপুর জেলায় এবার বোরো আবাদ হয়েছে ১
লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। আর ২৬
হাজার হেক্টরে জমিতে চাষ হয়েছে আউশ। পরিবেশ সহায়ক এ ধান চাষে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ
Discussion about this post