ব্রিটেনের রিডিং শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হামলাকারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলছে নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে, গতকাল শনিবারও লন্ডনে বর্ণবাদবিরোধী সমাবেশে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।
ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর যখন বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল, তখন দেশটির রিডিং শহরে ঘটে গেলো বিপত্তি। আন্দোলনকারীদের উপর এলোপাতাড়ি ছুরি হামলা চালায় এক অস্ত্রধারী। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। এতে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে পুলিশ। আটক করা হয়েছে হামলাকারীকে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অ্যাখায়িত করেছে প্রশাসন।
এদিকে, স্থানীয় শনিবার দুপুর ১টা থেকে লন্ডনের হাইড পার্ক, পার্লামেন্ট স্কয়ার ও আমেরিকান দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীরা। কিছুক্ষণ অবস্থানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে ট্রাফলগার স্কয়ারে এসে সমাবেশ করেন তারা।
এক নাগরিক বলেন, প্রসবকালে কৃষ্ণাঙ্গ নারীর মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। শুধু অবহেলার কারণে। শ্বেতাঙ্গরা মনে করেন কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন মূল্যহীন, তারা কষ্টবোধ করে না। কবে এসবে দৃষ্টিপাত করবে সরকার?
চলমান এই বিক্ষোভে এর আগে প্রায় ২৩০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে লন্ডন পুলিশ। তবে, এবার বেশিরভাগ আন্দোলনকারীকেই শান্তিপূর্ণ অবস্থানেই থাকতে দেখা গেছে, শহরজুড়ে পুলিশও ছিলো বেশ সতর্ক অবস্থানে।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়াতে নয় বরং শান্তি ও ন্যায়বিচারের দাবী নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন বয়স্ক জানান, একজন আইরিশ হিসেবে বর্ণবিদ্বেষের মতো একটি জঘন্য মানসিকতার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভে আমি সমর্থন করছি। কোটি কোটি কৃষ্ণাঙ্গ বহুকাল ধরে এর শিকার হয়ে আসছে। আধুনিক বিশ্বে এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য না।
বিক্ষোভে সামাজিক দূরত্ব মানা না হলেও বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক পড়া ছিলো।
Discussion about this post