হত্যার শিকার ব্যক্তি একজন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। রাজধানীর দক্ষিণখানের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গেল ১৫ই জুন একটি মরদেহের দুই পা রাজধানীর দক্ষিণখানে আর মস্তকবিহীন ধড় পাওয়া যায় বিমানবন্দর এলাকায়। পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে শনাক্ত হয় মরদেহটি হেলালউদ্দিন নামে এক যুবকের।
উত্তরার আজমপুরের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী হেলালউদ্দিনের বড় ভাই মোহাম্মদ হোজায়ফা ওই দিন রাতেই মামলা করেন।
পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির বিমানবন্দর জোনাল টিম। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, একটি বস্তা নিয়ে অটোরিকশায় উঠছেন এক লোক। নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার পর অটোরিকশা থেকে বস্তাটি নিয়ে নামতে দেখা যায় লোকটিকে। গোয়েন্দা পুলিশ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় বস্তায় ছিল হেলালের মরদেহের একটি অংশ। আসামির দেয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় মাথার অংশটিও।
হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় চার্লস রুপম সরকার এবং তার স্ত্রী মলি সরকার। পরে হত্যার শিকার ব্যক্তির বিকাশ একাউন্ট থেকে ৪৩ হাজার টাকা তুলে রূপমের শাশুড়ির কাছে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঢাকা মহানগর উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, প্রথমে ভিক্টিমের চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিয়ে দেয়া হয়। অজ্ঞান হওয়ার পর ডিসের তার দিয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে দুই পাশ দিয়ে টান দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
তবে এখনো মূল আসামি রূপমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ
Discussion about this post