বুন্দেসলিগায় নিজেদের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ফলে শিরোপা উদযাপনের থেকে আর মাত্র একটা জয় দূরে বাভারিয়ানরা। এদিকে, খাতায় কলমে এখনও শিরোপার দৌড় জীবিত রেখেছে ডর্টমুন্ড। অতিরিক্ত সময়ের গোলে ফরচুনা ডুসেলডর্ফকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ডাই বরুশেনরা।
বুন্দেস লিগার এই রাতটা বায়ার্নের জন্য হতে পারতো বিশেষ। ডর্টমুন্ডের পা হড়কালেই আরও একটা লিগ শিরোপা ঝুলিতে উঠতো বাভারিয়ানদের। তবে সন্ধ্যে টা নিজেদের করে নিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অপেক্ষা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলো ফেভ্রি শিষ্যরা।
অবশ্য কাজটা করতে গিয়ে যথেষ্ট ভুগতে হয়েছে ডাই বরুশেনদের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ফরচুনা ডুসেলডর্ফের ফুটবলাররা যেন এদিন চীনের মহাপ্রাচীরটাই বসিয়ে দিয়েছিলো পেনাল্টি বক্সের সামনে। এমেরি কেন, রাফায়েলরা বলের যোগান দিচ্ছিলেন। আর সেগুলো জালবন্দী করতে একের পর এক আক্রমণ চালাচ্ছিলেন হ্যাজার্ড-সানচো-ব্রান্ডটরা। সাটনার-হফম্যানদের ডিফেন্সে দু’চারবার চীর ধরানো গেছে, তবে কিছুই টলানো যাচ্ছিলো না পোস্টের নিচে দাঁড়ানো ফ্লোরিন ক্যাসেমিরকে।
কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। সেই ভালোর দেখা অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে ধরা দিলো ডর্টমুন্ডের হাতে। ইনজুরি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামা হাল্যান্ডের পায়ে ধরা পড়ে সোনার হরিণ। গোলের কারিগর ম্যানুয়েল আকানজি। ফলে খাতায় কলমে এখনও শিরোপার লড়াইয়ে টিকে রইলো বরুশিয়া।
এদিকে ডুসেলডর্ফ থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দূরে হয়তো একটু অখুশি হয়েই মাঠে নেমেছিলো বায়ার্ন। তবে ফুটবল বিধাতা হয়তো চাননি দলের মূল দুই শক্তিকে ছাড়া শিরোপা উদযাপন করুক রেকর্ড ২৮ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কারণ কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে মাঠে অনুপস্থিত মুলার আর লেওয়ানডস্কি৷
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এসেও কম ভোগায়নি টেবিলের চার নম্বর দলটা। স্বাগতিক বায়ার্নের সঙ্গে সমানের সমান পাল্লা দিয়ে খেলা জমিয়ে তুলছিলো মনশেনগ্লাডবাখ। তবে ২৬ মিনিটে গোলরক্ষক ইয়ান সোমের হাস্যকর ভুলে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা৷ফাঁকা পোস্টে দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ডাচ ফরোয়ার্ড জসুয়া জির’কজেই৷
গোল শোধে মরিয়া রোজ শিষ্যরা। তবে বাভারিয়ান শিবিরের বারের তলায় যে আছেন একজন ম্যানুয়েল নয়ার। তাকে ধোঁকা দেয়া যা তা কাজ নয়। তবে নয়ার তো আর জানতেন না দূর্গের প্রহরীই করবে আক্রমণ। ডান দিক থেকে আসা ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে এই বিপদটাই ডেকে আনেন পাভার্দ৷
তবে তার ক্ষতিপূরণটাও দেন বেশ ভালো ভাবেই৷৮৬ মিনিটে পভার্দের দারুন পাস থেকে বায়ার্নের হয়ে জয় সূচক গোলটি করেন গেরেটস্কা৷ তাতেই শিরোপা ছায়া দূরত্বে চলে এলো মিউনিখ জায়ান্টরা। লিগের বাকি তিন ম্যাচ, তবে ২৯ তম লিগ শিরোপার ১টা জয়ই যথেষ্ট হ্যান্সি ফ্লিক শিষ্যদের।
Discussion about this post