সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতায় হত্যার উদ্দেশ্যে এক ঘের মালিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে,
তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে জখম করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে, মাছ ও টাকা লুট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা।
জানা গেছে ১১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সদরের বিনেরপোতা গ্রামের আলহাজ্ব রজব আলির ছেলে মৎস্যঘের মালিক ডাঃ মেহেদী হাসান (২৯)কে একদল দুষ্কৃতিকারী হত্যার উদ্দেশ্য তার মৎস্যঘেরে হামলা করে, এ সময় তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীরা আসার আগে তার মাথায়, হত্যার উদ্দেশ্য সজোরে আঘাত করে এ সময় মৎস্য ঘের মালিক ডাঃ মেহেদী হাসান হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে বাম হাতে মারাত্নক জখম প্রাপ্ত হন।
মারাত্মক আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত মৎস্য ঘের মালিক ডাঃ মেহেদী হাসানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান গেছে, তার পৈতৃক জমিসহ ডিড করা জমিতে একটি মৎস্য ঘের করেন।
বিগত কয়েকদিন যাবৎ অত্র এলাকার লাদেন নামে পরিচিত আনসার আলী অবৈধভাবে তার মৎস্য ঘেরটি দখল করার ষড়যন্ত্র করে আসছিলো।
কিছু দিন আগে দুর্যোগময় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর কারণে ঘেরে পানি বেড়ে গেলে মেহেদী হাসান ঘেরের ভেড়ির চারপাশ উঁচু করতে গেলে আনসার আলী বাধা দেয় এবং ঘেরটি তার দখলে না দিলে সংঘর্ষের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে মেহেদী হাসান থানায় অভিযোগ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনসার আলীকে আদালতের দারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন।
তার কথা না শুনে আনসার আলী জোরপূর্বক ঘেরটি দখল করার চেষ্টা করতে থাকে।
যার এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মেহেদী হাসান বিনেরপোতামোড়স্ত তার চেম্বার থেকে পাহারার উদ্দেশ্যে ঘেরের টোঙে গিয়ে অবস্থান করেন।
এক পর্যায়ে আকষ্মিক ভোর রাতে বাইরে হৈচৈ শুনে টর্চ জ্বালিয়ে দেখে আনসার আলী ও তার ছেলে সামাদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দূষ্কৃতিকারী দল অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরের ভেড়ি ও টোঙ ভেঙে দিচ্ছে।
টর্চ জ্বালাতে দেখে আনসার আলী ও তার ছেলে সামাদ এগিয়ে এসে টর্চ জ্বালাতে নিষেধ করে এবং রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে তার হাত ভেঙে দেয়। এসময় মেহেদীর কাছে থাকা নগদ টাকা ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। উত্তেজিত হয়ে আনসার আলী তার লোকজনকে বলতে থাকেন মেহেদীকে মেরে পাশের খালে ফেলে দে।
ঘটনাক্রমে ডাঃ মেহেদী হাসান পার্শ্ববর্তী খাল পার হয়ে দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। দুষ্কৃতিকারীরা এ সময় মৎস্য ঘেরের বাসা ভেঙে পাশের খালে ফেলে দেয় এবং বেড়জাল দিয়ে ঘেরের প্রায় ২ লক্ষাধীক টাকার মাছ লুট করে। ডাঃ মেহেদী হাসান এর চিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসার আগে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
মেহেদীর বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য ঘেরে যাওয়ার পথে তাদেরকে আনসার আলী ও তার ছেলে সামাদ দ্বয় তাদের উপর ও হামলা চালায়। এতে করে মেহেদীর পরিবারের কয়েকজন আহত হন।
আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আনসার আলীর নিকট থেকে এ বিষয়ে জানার জন্য চেষ্টা করা হলে ও তাকে পাওয়া যায় নি?
এরির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
Discussion about this post