শহরের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন। গ্রামের কেউ হলে আক্রান্তের বাড়িসহ আশপাশের ৪টি বাড়ি। যদি কেউ এমন নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে ফৌজদারি আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার (৮ জুন) রাতে জরুরি ভার্চুয়াল এক সভায় এমন ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি এই ভার্চুয়াল সভায় অন্যদের মধ্যে যোগ দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারীসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির আরো কয়েকজন সদস্য।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের গণ্যমন্য ব্যক্তিদের নিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। যাদের কাজ হবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা এবং কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া।
চাঁদপুরে এই পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন পৌনে তিন শতাধিক। করোনা পজিটিভ এবং এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৫ জনের মতো।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক। গত ৩১ মে থেকে সরকার এই বিষয় কিছুটা শিথিল করলেও চাঁদপুর নতুন করে ভিন্ন আঙ্গিকে এই লকডাউন চালু করা হচ্ছে।
Discussion about this post