টঙ্গীতে পুলিশের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাসহ একাধীক মামলার আসামীরা। রহস্যজনক কারণে আসামীদেরকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও দেশব্যাপী সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে আসামীরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী। আসামীরা পুলিশের নাকের ডগায় বুক ফুলিয়ে বীরদর্পে সভা সেমিনারে ঘোরাফেরা করছে । পুলিশ বলছে আসামীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জীবনের নিরাপত্তার হুমকি থাকায় আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী হাসান মামুন স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় দীর্ঘদিন সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি ২০১৯ সালে টঙ্গী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মামলার ১নং আসামী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার চর কাকরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এম আর নাসির ও ময়মনসিংহ জেলার বাগলা থানার দীঘলবাগ গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে শেখ মো: আজিজুল হক ইর্ষাণিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে অপপ্রচার চালায়। ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হাসান মামুন তাদের বিরুদ্ধে গত ১১ই মার্চ ২০২০ইং তারিখ টঙ্গী পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০১৯ইং সালের ১৪ অক্টোবর টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে খুন করতে এসে না পেয়ে উল্লেখিত আসামীগণসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এতে ক্লাবের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসময় একজন সাংবাদিকও আহত হয়। আহত সাংবাদিকের সাথে থাকা নগদ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে সারাদেশের সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উক্ত থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারপরও আসামীগণ পুলিশের সাথে দিনরাত ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছে না। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের লোকদের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে। ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যেও।
এবিষয়ে মামলার বাদী টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল ও কোষাধ্যক্ষ হাসান মামুন বলেন, এম আর নাসির ও শেখ আজিজুল হক আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রেসক্লাবের সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকিসহ দেশের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে। এরপরও আসামীগণ দিনরাত পুলিশের সাথে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। এ নিয়ে জনমনে রহস্যের দানা বেধেছে।
টঙ্গী প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার ঘটনায় দেশব্যাপী সাংবাদিকমহলসহ প্রেসক্লাবে ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবীতে সর্বমহলে দাবী উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এদের বিষয়ে কোন পদক্ষেপও নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান ও এসআই নেওয়াজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতার না করার পায়তারা করছেন। আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এবষিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা এমদাদুল হক জানান, করোনা ভাইরাসরে কারনে আসামীদের গ্রেফতারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে এঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post