ভারতে পঙ্গপালের হানায় ফসলি জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দেশটির রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় শস্য সাবাড় করে চলেছে পঙ্গপাল। করোনার দুর্যোগের মধ্যে এই পতঙ্গের হানায় কৃষিখাতে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একেতো করোনার থাবা, তার ওপর ফসল খেকো পঙ্গপালের হানা। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। এরই মধ্যে পশ্চিম ভারতের ২৪টিরও বেশি জেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে পঙ্গপাল বাহিনী। এক জায়গার ফসল সাবাড় করেই তারা চলে যাচ্ছে আরেক জায়গায়। পঙ্গপালের আনাগোনা থাকলেও গত দুই দশকে এমন হামলার মুখোমুখি হয়নি দেশটি।
পঙ্গপালের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাট। পাকিস্তান থেকে এপ্রিলের শেষ দিকে ভারতে প্রবেশ করে পঙ্গপালের দল। এই পোকা দমনে কীটনাশক ছড়ানোর কাজও চলছে পুরোদমে।
পাকিস্তানেও চলছে পঙ্গপালের তাণ্ডব। গত দুই তিন দশকে এবারই সবচেয়ে বেশি পঙ্গপাল এসেছে এই এলাকায়। সংকট মোকাবিলায় এপ্রিলের পর স্কাইপে নয়টি বৈঠক করেছে দুই দেশ। যোগ দিয়েছে আফগানিস্তান ও ইরানের কৃষি কর্মকর্তারা।
এক বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ৪ কোটি পতঙ্গ থাকে। জাতিসংঘ বলছে, দিনে ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার জুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে ৩৫ হাজার মানুষের একবছরের খাবার খেতে পারে পঙ্গপাল।
বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রায় সাড়ে চার কোটি বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে পঙ্গপালের হামলাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্ণিত করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও। এরই মধ্যে পঙ্গপালের ঝাঁক দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।
Discussion about this post