সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) তালিকায় নাম থাকা অনেক হতদরিদ্রের ভাগ্যে জুটছে না ১০ টাকা কেজির চাল। রূপসায় ৪ বছর ধরে ১৪টি পরিবারের চাল আত্মসাৎ করেছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার সরদার মিজানুর রহমান (৪৫)। যা সরেজমিন তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ডিলার সরদার মিজানুর রহমান ওই এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রূপসা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরদার মিজানুর রহমান রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ১৪টি পরিবারে চাল নিয়মিত আত্মসাৎ করে আসছেন। নাম থাকা সত্ত্বেও চাল না পাওয়া ওই ১৪ ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শাহিদ শেখ, সেলিম শেখ, আনিচুর রহমান, সাইদুর রহমান, খালেদা বেগম, জাহিদ মুন্সি, মুকুল শেখ, কামাল শেখ, রফিকুল শেখ, মমতাজ, নাসিম হাওলাদার, ওলিয়র হাসান, আসলাম খাঁ ও ফারুক হাওলাদার।
তারা জানান, তাদের নাম, ছবি ও ন্যাশনাল আইডিকার্ড নেওয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালে। তবে তাদের নামে কার্ড হয়েছে কিনা তা জানেন না। তারা কখনো ১০ টাকা মূল্যের এই চাল উত্তোলন করেননি। এ বিষয়ে মিজানুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্ত করতে যাই। এ সময় আমার সঙ্গে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে তাদের এ চাল দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি তারা জানেও না যে তাদের নামে কার্ড আছে। সুতারাং ডিলার সরদার মিজানুর রহমান যে তাদের চাল আত্মসাৎ করেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আজ শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ওই ১৪ ব্যক্তির এ যাবৎকালের ক্ষতিপূরণ আদায়সহ তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ডিলারশিপ বাতিল করা হবে বলেও জানান ইউএনও নাসরিন আক্তার এবং এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে পারতেন না এই আওয়ামীলীগ নেতা মিজানের কারণে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন মিজানুর রহমানকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী এলাকাবাসীর।
Discussion about this post