করোনার লকডাউনে রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাই, ডাকাতি। দিনে দুপুরে প্রধান সড়কে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ বলছে, লকডাউনের কারণে রাজধানী ফাঁকা থাকায়, বেড়েছে ছিনতাইয়ের প্রবণতা। তবে আসছে ঈদ ও সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে টহল। তবে, কমেছে অন্য অপরাধ। রাজধানীর ৫০টি থানায় গত কয়েক মাসে তুলনামূলক মামলা কমেছে, ৮৩ শতাংশ।
আশিয়ান মেডিকেল কলেজের সহকারী ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট তায়েবুর আহমেদ অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন বাসা থেকে উওরা হাউজ বিল্ডিং থেকে ছিনতাই এর কবলে পড়েন সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা মানুষের সেবা দেয়া এই মানুষটি
করোনার লকডাউনের এই সময়টাতে রাজধানীতে ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে আরও অনেক। বেশিরভাগ রাস্তায় মানুষজন কমে যাওয়ায় বাড়ছে ছিনতাই। এছাড়া পিপিই পড়ে চিকিৎসক অথবা পুলিশ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতির অভিযোগও আছে অনেক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ফাঁকা ঢাকায় ছিনতাই তৎপরতার বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল।
পরিসংখ্যান বলছে, করোনাকালে ছিনতাই কিছুটা বাড়লেও কমেছে অন্যান্য অপরাধ। রাজধানীর ৫০টি থানায় গত তিন মাসে মামলার সংখ্যা কমেছে ৮৩ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ১৩১টি ও মার্চে হয় ২ হাজার ৫৫টি মামলা। লকডাউনের পর এপ্রিলে ৩৪৯ আর চলতি মাসে ১৭ তারিখ পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ৪শর মতো।
ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদ ঘিরে রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদ জামাত না হলেও, এলাকার মসজিদে মসজিদে থাকবে পুলিশি পাহারা।
ঈদে রাজধানীর প্রধান সড়ক ও গলিতে গলিতে পুলিশের বিশেষ টহল টিম থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
Discussion about this post