করোনার মধ্যেই এবার নতুন আতঙ্ক ঘূর্ণিঝড়। এপ্রিলের শেষ বা মে’র একেবারে শুরুতে বঙ্গোপসাগরে হাজির হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হবে বা কোথায় আছড়ে পড়বে; তা বলার সময় এখনও আসেনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বুলেটিনে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মে’র প্রথমেই আন্দামান সাগর লাগোয়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। প্রাথমিকভাবে প্রভাব পড়বে আন্দামান-নিকোবরের দ্বীপগুলোতে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ কী হবে, তা আরো কয়েকদিন পর জানা যাবে।
এদিকে মিয়ানমারের আবহাওয়া দফতরও এপ্রিলের শেষে নিম্নচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে। এই ঝড়ের খবর সম্ভাবনার পর্যায়ে থাকলেও এর নাম এরইমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিলেই নাম দেয়া হবে ‘উম্পুন’। নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান তালিকার এটিই শেষ নাম।
ভারতীয় গণমাধ্যম এ সময় জানায়, এপ্রিলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসার প্রবণতা কম। ১৮৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত এপ্রিলে সৃষ্ট কোনো ঘূর্ণিঝড়ই পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানেনি। আর ভারতের পূর্ব উপকূলে হাজির হয়েছে মাত্র চারটি ঘূর্ণিঝড়। বাকি ২৪টির গন্তব্য হয়েছে বাংলাদেশ বা মিয়ানমার।
Discussion about this post