রমজানে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট নেই। বরং চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর, ছোলার মজুত আছে চাহিদার তুলনায় বেশি। এই দাবি ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের। আর কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কেউ দাম বাড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। অন্যদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে দামে।
এবার রমজানের আগেই দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) ছোবল। রমজানে চাহিদা বাড়ে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর, ছোলাসহ ৮টি পণ্যের। এর বেশিরভাগই আমদানি নির্ভর। করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব বাণিজ্যে ধস নামলেও এসব পণ্য নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাহিদার বিপরীতে বরং বেশিই আছে এসব পণ্যের মজুত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে, বছরে ছোলার চাহিদা ২ লাখ থেকে সোয়া ২ লাখ টন এর মধ্যে কেবল রমজানেই চাহিদা ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টন। তবে বছরের মজুত ২ লাখ ৩৬ হাজার টন। খেজুরের চাহিদা ২০ হাজার টন মজুত প্রায় ২৪ হাজার টন।
এছাড়া ১৪ থেকে ১৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে চিনির মজুত বছরে ১৮ লাখ টন। ভোজ্যতেলের চাহিদা ১৮ লাখ টন বছরে মজুত ২০ লাখ টন। বার্ষিক মজুতের এই হিসাব অনুযায়ী রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি থাকার কথা নয়। এরইমধ্যে পর্যাপ্ত পণ্যের মজুদ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাজারে ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এসব পণ্য চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে সরবরাহ হয় সারা দেশে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে পণ্যবাহী যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ার প্রভাব পড়তে পারে পণ্য সরবরাহে। এ কথা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যান সংকটে বেড়েছে পরিবহন খরচ। এর প্রভাবে বাড়তে পারে পণ্যের দাম।
বাজার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে এবার রমজানে টিসিবিকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি থাকবে না জানিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে বাজারে থাকবে নিয়মিত নজরদারি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে পারে সিয়াম সাধনার মাস রমজান।
Discussion about this post