বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করােনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে ও লক্ষাধিক লােক মৃত্যুবরণ করেছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রােগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রােগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রােগের একমাত্র প্রতিষেধক হলাে পরস্পর হতে পরস্পরকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা এবং যেহেতু, জনসাধারণের একে অপরের সাথে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরােধ করা সম্ভব নয় এবং যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রােগের সংক্রমণ ঘটেছে। সেহেতু সংক্রামক রােগ (প্রতিরােধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘােষণা করা হলাে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু হলো ৬০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,০১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ৩৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১,৫৭২ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এখন ৪৬১ জন আইসোলেশনে আছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯ জন। সারাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৮৮ টি প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিনের সেবা দেয়া যাবে ২৬ হাজার ৩৫২ জনকে।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
Discussion about this post