করোনা ভাইরাসের কারণে কাঁচামাল সংকটে হুমকির মুখে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন। উদ্যোক্তারা বলছেন, কাঁচামালের যোগানদাতা চীন থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এতে উৎপাদন কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ।
পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান এমনকি কারখানা সাময়িক বন্ধের কথাও ভাবছেন উদ্যোক্তারা। তবে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও চীন থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ’সহ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিপণ্যের আমদানি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের বাজার প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার। বার্ষিক চাহিদা তিন কোটি ১০ লাখ হ্যান্ডসেট।
যারমধ্যে ফিচার ফোনের চাহিদা ৭০ শতাংশ এবং স্মার্টফোন ৩০ শতাংশ। সরকারি শুল্ক সুবিধায় বিশাল এই বাজার ধরতে ওয়ালটন, সিম্ফনি, স্যামসাং, ভিভো ও অপো’সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করেছে।
বর্তমানে ৯টি কারখানায় অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ স্মার্টফোন এবং ৫০ শতাংশ ফিচার ফোনের যোগান দিচ্ছে। তবে বিকাশমান এই খাতে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার কারণে কাঁচামাল সরবরাহকারী অনেক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এতে সংকটে পড়েছেন তারা।
এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহিদ বলেন, এক মাসের মালামাল আমাদের থাকে। কিন্তু এখন আমাদের ৩০ শতাংশও নাই।
Discussion about this post