শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে, পুলিশ ও নিখোঁজ শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ স্বজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন শ্রমিকের খোঁজ না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তাদের স্বজনেরা। পুলিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এসময় ব্যাপক ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। বর্তমানে কারখানা এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজমান রয়েছে।
এদিকে, সেজান জুসের কারখানায় সকালে আবারো আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে আগুন লাগলে ১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। আগুনে তিন শ্রমিকের মৃত্যু ও আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন।
আগুন লাগার সময় কারখানাটিতে অনেক শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করছিলেন। তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানার একজন ইঞ্জিনিয়ার জানান, হঠাৎ করে তারা ধোঁয়া দেখতে পান। আগুন লাগার পর ছয়তলা থেকে লাফ দিয়ে একজন ও আগুনে পুড়ে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন: স্বপ্না রাণী, মিনা আক্তার ও মুরসালিন।
কারখানার পাশে অপেক্ষারত বিক্ষুব্ধ স্বজনের দাবি, কারখানার ভেতরে থাকা তাদের লোকজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে, ঘটনাস্থলে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post