কামলা শ্রেণির মানুষ হতদরিদ্র, অসহায় কামাল মল্লিক ও হালিমা বেগম দম্পতি এখন দুই সন্তান নিয়ে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। নদীর পাড়ের তাদের সরকারি খাস জমির ওপর ২০ বছরের বসতি থেকেও উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে নেমেছে পড়শি রাশিদা বেগমসহ স্থানীয় একটি চক্র। মহিপুরের নজিবপুর গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র এ পরিবারের উপার্জনোক্ষম ব্যক্তি কামালকে চাঁদাবাজি, মাদক মামলার পরে এবারে মাছ চুরির কথিত মামলায় আসামি করার পায়তারা করা হচ্ছে। অতি সম্প্রতি কামালের স্ত্রী হালিমা বেগমকে ওই চক্র মারধর করেছে। এখন ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের চক্রান্ত করা হয়েছে। এমনসব অসহায়ত্বের কথা বলে কামাল মল্লিকের পরিবারের পক্ষ থেকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে শনিবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিলা মেম্বার বিউটি বেগম। কামালের অভিযোগ তিনি সরকারের নদী পাড়ের জেগে ওঠা খাস জমিতে একটি ঘর তুলে প্রায় ২০ বছর বসবাস করে আসছেন। ওই জমির অগ্রভাগের অংশ জব্বার দর্জীর স্ত্রী রাশিদা বেগম প্রায় আট বছর আগে অবৈধভাবে ভুয়া বিধবা সেজে বন্দোবস্ত নেয়। যার বন্দোবস্ত কেস নম্বর ১৩ কে/২০১১-১২, যার দলিল নম্বর ৫৮১৫/১২। কিন্তু বন্দোবস্ত পাওয়া জমির চেয়ে অনেক বেশি জমি দখল করে রেখেছেন রাশিদা বেগম। যা মহিপুর তহশিল অফিসের লোকজন মাপজোক করে রাশিদার জমির চৌহদ্দি দিয়ে দেন। এরপরও কামালকে হয়রাণি করা হচ্ছে। তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলের পথে কাটা পুতে রাখা হয়। একমাত্র ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র গোলাম রাব্বি এবং শিশুকন্যা জিদনিকে নিয়ে দিনমজুর এ পরিবারটি চরম বিপাকে পড়েছেন। অসহায় এ পরিবারটির পাশে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী ফোরামের সভাপতি সীমা পারভীন, সদস্য কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, সদস্য বিউটি বেগম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সকলকে সহায়তা করার আহŸান জানান। তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে এ পরিবারটিকে আইনি সহায়তার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দরিদ্র অসহায় পরিবারটিকে উচ্ছেদের কবল থেকে বাচানোর জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। অভিযুক্ত রাশিদা বেগমের দাবি তিনি কাউকে হয়রাণি করছেন না। তার লাখ লাখ টাকার চাষ করা মাছ যারা মেরে ফেলেছে তার প্রতিকার চাইছেন।
Discussion about this post