এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে দলের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহবানও জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, বিএনপির টিকিট পাওয়া সালাউদ্দিন আহমেদ বলছেন, দলের সব নেতাকর্মীকে সাথে নিয়েই ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত তিনি। এদিকে, নানা দিক বিবেচনা করেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে-এমনটা জানিয়েছে বিএনপি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী। আর সালাউদ্দিন আহমেদের আসন ছিল ঢাকা ৪।
তবে, ঢাকা ৫ এর উপনির্বাচনে সালাউদ্দিন আহমেদের হাতেই ধানের শীষ তুলে দিয়েছে বিএনপি। যা হতাশ করেছে নবীউল্লার সমর্থকদের। তবে, দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদের সমর্থকরা।
দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সবাইকে আস্থাশীল হবার আহবান জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দলের সিদ্ধান্তই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমি আশা করি আমার ছোট ভাই নবীউল্লাহ আমার বিরুদ্ধে যাবে না।”
প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঢাকা ৫ আসনে নেতাকর্মীদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঢাকা ১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন বলেন, “ভবিৎষতে কথা চিন্তা করে আমি মনে করি সালাহউদ্দিনকে সমর্থন করাই ঠিক হবে।”
তবে, বিএনপির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তা পুনর্বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “যেহেতু একজনের সিদ্ধান্ত দিতে হয় তাই অনেকেই বঞ্চিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সাথে যারা রাজনীতি করে তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।” নির্বাচনে এর প্রভাব যে না পড়ে এমন আশা প্র০কাশ করেন তিনি।
ঢাকা ৫ আসনে উপনির্বাচনে ১৭ ই অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।
Discussion about this post