মো: আক্তার হোসেন
পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে সুরমা নদীর পানি বাড়ায় সিলেট সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। আগের বন্যার পানি ঘরবাড়ি স্কুল , কলেজ, মাদ্রাসা , মসজিদ থেকে যাওয়ার পরপরই আবারো ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়েছে ছাতকের সর্বত্রই।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,
শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে সুরমা নদী সহ সকল নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এখানে আবারো ব্যাপক আকার ধারন করতে পারে। ইতিমধ্যে বন্যায় পানির নিচে ডুবে গেছে অনেক রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শ’শ একর বীজতলা। ভোগান্তিতে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ। আগের বন্যার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, যা এখনও কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।এদিকে পানি বাড়ায় মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে আবারো দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ায় বানভাসিদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্যসংকটে পড়েছেন বন্যাদুর্গত মানুষ।
সদর উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ন ই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শহরের নিম্নাঞ্চল এলাকার বাসাবাড়িতে আবারো বন্যার পানি ঢুকেছে। পানিবৃর্ধী অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৫০ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে শুক্রবার থেক ১৪০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিলেট সুনামগন্জ
সহ দেশের সড়ক যোগাযোগ রাতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা সদরের সাথে ৮ টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার ইউনিয়নে যাদের ঘরে পানি উটেছিল তাদের কাছ থেকে সরেজমিনে জানা নায় তারা বলেন আমাদের ঘরে পানি নেমে গিয়েছিল কিন্তু আবারো বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘর ডুবে যাচ্ছে ,
হাতে নেই কাজ, ঘরে নেই খানি, আগের পানির সময় আমার ঘরে বুকপানি ছিলো, আমি অনেকে অভিযোগ করেন আমি সরকারী কোনো ত্রান পাই নি , এই অবস্থায় বউ, বাচ্ছা নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
স্থানীয় সংবাদিক আক্তার হোসেন যানান, প্রথম দফার বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখে খোঁজ খবর নিয়েছি এবং দুঃখের বিষয় হলো ! উপজেলার অনেক মানুষ পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে আছে।
Discussion about this post