শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না সাংসদেরা। ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সাংসদকে সভাপতি করা সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এক রায়ে এই অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ২৫ নভেম্বর ওই রায় দেন। বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো হুমায়ুন কবীর জানান, রায় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে সংসদ সদস্যদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে সার্বক্ষণিক নিবেদিত থাকতে হয়। এ ছাড়া গভর্নিং বডির সভাপতির পদ সংসদ সদস্যদের মহান পদের সঙ্গে একেবারেই বিপরীত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালের ১৬ জুন এক আদেশে স্থানীয় সাংসদ এস এম জগলুল হায়দারকে শ্যামনগর উপজেলার আতরজান মহিলা কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আফজালুল হক ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।
Discussion about this post