বগুড়ার ধুনটে উপজেলার ভান্ডরবাড়ি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের পাট ক্ষেত যমুনা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বেড়েই চলেছে। এতে যমুনা চরে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো ভয়ের কিছু নেই। পানি বিপদ সীমার অনেক নিচে আছে। তবে নিচু এলাকায় পানি জমে দুই একটি ক্ষেতে পানি প্রবেশ করে থাকতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে বৈশাখী, রাধানগর, লকয়াগাড়ি, নিউসারিয়াকান্দি, পুকুরিয়া, বানিয়াজান, শিমুলবাড়ি ও শহড়াবাড়ির গ্রামে প্রায় ৩০ হেক্টর জমির পাট তলিয়ে গেছে।
নিউ সারিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে জমিতে বীজ বপন করার সুযোগ হয়েছিল। অন্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে খরচ কম ও অধিক লাভজনক। তাই গত বছরের তুলনায় এবার নদীর তীরে পাট চাষের পরিমাণ বেড়ে যায়।
পুকুরিয়া গ্রামের আবুল কাসেম জানান, গত বছর তিনি ২০ শতক জমিতে পাট চাষ করে ভালো দাম পেয়েছেন। এ কারণে এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু পাট পরিপক্ষ হওয়ার আগেই যমুনা নদীর পানি ক্ষেতে প্রবেশ করেছে। এতে পানি দ্রুত না নামলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
ধুনট উপজেলা উপ-সকহারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষে শুরু করেন। পাটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে লাকড়ির মূল্য বেশি। নানা কারণে যমুনা পাড়ের কৃষকরা এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করেন।
বগুড়া পানি উন্নন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনা নদীতে এখনো বিপদ সীমার অনেক নিচে রয়েছে পানি। কিছুটা বেড়েছে। এসময় বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়ে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোন কিছু দেখা যায়নি।
Discussion about this post