বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজনদের একজন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। তারই ভাই সাইদুল ইসলাম শিকদার। মিতু হত্যার পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলার তদন্তে এই দুই ভাইয়ের নাম এসেছিল। সাইদুল গ্রেপ্তার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পান।
র্যাব জানায়, মিতু হত্যাকাণ্ডের প্রথম মামলায় সাকু জামিনে ছিলেন। নতুন করে বাবুল আক্তার ও সাকুসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০২০ সালে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় পিবিআইকে। ২০১৬ সালে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। বুধবার (১২ মে) বাবুলের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে এদিনই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই। তার পাঁচদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর হয়েছে।
এই মামলার অপর আসামিরা হলেন– কামরুল সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোহাম্মদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহজাহান ও মোহাম্মদ কালু।
Discussion about this post