দশমিনা (পটুয়াখালী) ঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ২নং আলীপুরা ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালকে ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক রবখাস্তের করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। অপরদিকে, কেন তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারন করা হবে না মর্মে পত্রপ্রাপ্তির ১০কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরন করার নিদের্শ দেন ওই মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। গতবুধবার তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আলীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালের বিরুদ্ধে ভিজিডি চাল বিতরন না করে ভূয়া সই/ স্বাক্ষর গ্রহন, ভিজিডি উপকারভোগীদের ভিজিডি কার্ড অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের কাছে জমা রাখা, চাল বিতরনের দিন ক্ষন যথাসময়ে ট্যাগ অফিসারকে অবহিত না করা, সুবিধাভোগী/ উপকারভোগীদের সাথে অসদাচরন এবং চাল বিতরন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদেরকে সময়মত সম্পৃক্ত না করে চাল বিতরনের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী’র ২৪ জুন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালকে চুড়ান্তভাবে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধে কেন চুড়ান্তভাবে অপসারন করা হবে না তার কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। পত্রপ্রাপ্তির ১০কর্মদিবসের মধ্যে কারন দর্শানো নোটিশের জবাব পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরনের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ, গত ৭জুন আলীপুরা ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালের বিরুদ্ধে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌসের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তোফাজ্জেল হাওলাদার, শিরিন বেগম, মাজহারুল ইসলাম চুন্নু, বাহাউদ্দিন মিয়া ও আফজাল হোসেন ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও এপ্রিল এই তিন মাসের ৬শ ১৫জন দুঃস্থ অসহায় সুবিধাভোগীদেরকে ভিজিডি চাল না দিয়ে সুবিধাভোগীদের কার্ডে টিপসই ও ভুয়া মাষ্টাররোল নিজের মত করে সাজিয়ে চাল আত্মসাতের করেন ইউপি চেয়ারম্যান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থাণীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ হেমায়েত উদ্দিন তদন্তে সত্য পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক ২১জুন সহমত পোষন করে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post