লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সেনাদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায়, বেইজিং-এর বিরুদ্ধে কলকাতায় বিক্ষোভ হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতীয় রাজনীতিবিদরাও। সীমান্তে সংঘর্ষে ভারতের নিহত ২০ জওয়ানের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দুই সেনা সদস্য রয়েছেন।
কলকাতা থেকে প্রায় তিনশ কিলোটিমার দূরে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ ওরাং। চলতি মাসে বিয়ের কথা চলছিল এ সেনা সদস্যের। কিন্তু সোমবার লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২৫ বছর বয়সী তরুণ সেনা রাজেশ।
গ্রামের বাড়িতে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চলছে প্রস্তুতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা নিয়ে পৌঁছেছেন জনপ্রতিনিধিও। প্রিয় মানুষটিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতেন ভিড় করেন গ্রামবাসীরা।
একইভাবে নিহত হন আলিপুরদুয়া জেলার বিন্দিপাড়া গ্রামের আরেক সেনা সদস্য বিমল রায়ও। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষকে চীনের আগ্রাসন হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিকরা। হতাহতের প্রতিবাদে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভও হয়েছে।
শহীদ সেনা সদস্যদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। গেল সোমবার লাদাখ সীমান্তে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন এবং চীনের ৪৫ সেনাসদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
Discussion about this post