ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতো না বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে, অস্থিতিশীল পেঁয়াজ বাজার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন,পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প বাজার খুঁজছে সরকার। ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে ক্রয়কৃত পেঁয়াজ যেগুলো সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় আছে, সেগুলো দু-একদিনের মধ্যে দেশে আসবে। তুরস্ক ও মিসর থেকে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, অল্প কিছু দিনের মধ্যে এগুলোও দেশে পৌঁছবে।
তিনি বলেন, টিসিবি এবার বড় ধরনের পেঁয়াজের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগেই আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। ভোক্তারা পেঁয়াজ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হলে কোনো সমস্যা হবে না।
গত মঙ্গলবার হঠাৎ করে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় একদিনেই অস্থির হয়ে ওঠে সারা দেশে পেঁয়াজের বাজার।
পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত হলেও, গত বছর দেশটিতে দাম বেড়ে যাওয়ার পর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। দাম বেড়ে যায় বাংলাদেশেও। বিকল্প একাধিক দেশ থেকে তখন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এবারও দাম বাড়ায় হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। সে অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
Discussion about this post