কুড়িগ্রাম, নাটোর, দিনাজপুর, লক্ষ্মীপুর ও কিশোরগঞ্জে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্তে তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সংক্রমণ রোধে আশপাশের বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে করোনা উপসর্গে টাঙ্গাইল-ফেরত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুরায় মাস্টারপাড়া গ্রামের বাড়িতে তিনি মারা যান। দুর্গাপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ আলী সরদার ও উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সরকার এ তথ্য দিয়ে জানান, মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের দুই সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে সুকুমার দাস নামে এক ভ্যানচালক মারা গেছে। রাতে উপজেলার নওশেরা গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলো সে। সুকুমার মারা যাওয়ার পর তার বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল জানান, করোনা উপসর্গে মৃত্যুর কারণে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার ফল না আসা পর্যন্ত ওই গ্রাম লকডাউন থাকবে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৫ নম্বর ভাবকী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ইটভাটা শ্রমিক কফিলউদ্দিন করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল নরসিংদী থেকে তাঁর মেয়েসহ বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। পরে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ। কফিল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জ্বর,শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া নিয়ে রাজিব হোসেন নামে এক হোটেলে শ্রমিক মারা গেছে। দুপুরে রামগতির তার নিজ বাড়ীতে তাকে দাফন করা হয়। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য রাজীবের মৃতদেহের নমুনাসহ তার পরিবারের আরো ১০ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: কমলা শিষ মজুমদার জানান, ঢাকার একটি হোটেলে কাজ করতো রাজীব। সম্প্রতি সে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া ১০ বছরের এক শিশুর নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পানান গ্রামটি লকডাউন করা হয়েছে। শিশুটির সংস্পর্শে আসা লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নাছিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Discussion about this post