চোখে পড়ে না বিলুপ্তির পথে অপরূপ সুন্দর ফুলে ভরা শিমুলগাছ । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গাছপালা ঘেরা দশমিনা ছিল সুন্দর রূপ আর গাছগাছালি ফল আর সুগন্ধির জনপদ।বিগত এক যুগ আগেও এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে আর রাস্তার ঢালে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। প্রতিটি গাছে গাছে ফুটে ওঠা শিমুল ফুলই স্মরণ করে দিত বসন্ত এসেছে দ্বারে। কিন্ত সেই বৃহৎ গাছের দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়েনা। বলা যায়, কালের আবর্তে দশমিনা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। অন্যান্য গাছের তুলনায় শিমুল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বহু দূর থেকে এ মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে। জোয়ার এনে দেয় কল্পনার জগতে। ঋতুরাজ বসন্তের আগমন বার্তা জানান দেয় চোখ ধাঁধানো টকটকে লাল রঙের শিমুল ফুল। দূর থেকে দেখলে যেন মনে হবে বনে বনে আগুন লেগেছে। এই সৌন্দর্যের কোনো তুলনা নেই। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Bombax Ceiba শিমূল গাছ প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে উঠে। পরিত্যক্ত ভূমিতে অনাদরে বেড়ে উঠা শিমূল গাছে ২/৩ বছরের মধ্যেই ফুল ও ফল ধরে। কেবল সৌন্দর্যই বিলায় না, শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব। শিমুল গাছের ছাল ঘা সারাতে সহায়তা করে।রক্ত আমাশয়ে দুর করে।ছাল ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়। শুধু তাই নয় শিমুল তুলাতে তৈরি বালিশ তোষকের জুড়ি নেই। শিমুল গাছের কাঠ দিশলাইয়ের কাঠি ও বিল্ডিংয়ের সাটারিংয়ে ব্যবহৃত হয়। উপজলায় গ্রামের পথেঘাটে যত্রতত্র গড়ে ওঠা শিমুল গাছ তার মর্যাদা পায়নি। কালের বিবর্তনে দশমিনায় আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়। জানাযায়,বাণিজ্যিকভাবে দশমিনা উপজেলাতে এই শিমুল গাছ চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠে। যে কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছটি।, অপর দিকে শিমুল গাছ বিলুপ্তির জন্য প্রকৃতিও হারাচ্ছে তার ভারসাম্য। এই গাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
Discussion about this post